Aar Konokhane
রায় বাড়ির কন্যা উপেন্দ্রকিশোর রায়ের ভাতিজি, সুকুমার রায়ের বোন, সত্যজিৎ রায়ের ফুফু কিংবা 'বনের খবর'এর প্রমদারঞ্জন রায়ের মেয়ে লীলা রায়। অথবা এসকল পরিচয়ের ঊর্ধ্বে নিজস্ব লেখনী মহিমায় যিনি সাহিত্য জগতে নিজের আসনটি স্থায়ী করে রেখেছেন, তিনিই হলেন লীলা মজুমদার। এই নাতিদীর্ঘ গ্রন্থটি তাঁরই স্মৃতিকথা৷ নিজের প্রথম পঁচিশ বছরকে মলাটবদ্ধ করেছেন 'আর কোনোখানে ' শিরোনামে।
পিতার চাকরির সুবাদে শৈলবাসে বেড়ে উঠেছেন এগারো বছর পর্যন্ত। পাহাড়ের জীবনকে এতটা চিত্রময়রূপ ভঙিতে সাজিয়েছেন লীলা মজুমদার যেন সবকিছু দু'চোখের সামনে দেখছিলাম। সেখানকার ঝঞ্জাটহীন সময়কে বেশ করে স্মৃতিরপটে এঁকেছেন লীলা মজুমদার৷
উপেন রায় আ্যন্ড সন্সের বিখ্যাত প্রেস, সুকুমার রায়ের মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, রায় পরিবারের প্রত্যেকটি পুরুষের কীর্তির বর্ণনা সবই আছে। আছে তুখোড় মেধাবী লীলা মজুমদারের পরিবারের কলকাতায় চলে আসা। বিরাট রায় পরিবারে একেরপর এক ট্র্যাজেডি। আফসোস করেছেন তার ভাই সুকুমার রায়ের মতো মানুষকে আজ লোকে ভুলতে বসেছে। সুকুমার রায়ের পরিচয় হয়ে উঠেছে সত্যজিৎ রায়ের পিতা হিসেবে৷ অথচ সুকুমার রায় নিজে তো কম বড় রত্ন ছিলেন না। সে তো লীলা রায় তার বড়দা' সুকুমার রায়কে নিজের চোখেই দেখেছে।
শান্তিনিকেতনে নয়মাস শিক্ষকতা করিয়েছিলেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখনো জীবিত৷ রবিঠাকুরের সান্নিধ্য প্রাপ্তি এবং শান্তিনিকেতনবাসের অতীতকে আঁকড়ে রেখেছেন বড় যত্ন নিয়ে। যদিও টিকতে পারেন নি সেখানে। চলে আসতে হয়েছে তাঁকে।
সব অতীত অভিজ্ঞতাকে আমরা কী মনের মণিকোঠায় ঠাঁই দিই? ততস্থান তো আমাদের নেই। যেসব ঘটনা অমলিন হয়ে থেকে যায়, সেইসবই স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়। হয়ে থাকে নিত্যকার সঙ্গী। লীলা মজুমদার তার স্মৃতিকে খুবই সাদামাটা অথচ ভারি অন্তরঙ্গতার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন পাঠকদের সাথে এমনটি বড় একটা দেখা যায় না৷
জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর সংখ্যা হিসেবে কতটা কম-বেশি জানি না। তবে ঘটনাবহুল পঁচিশ বললে অত্যুক্তি হবে না৷ জীবনের সকল অভিজ্ঞতা অম্লত্বে বিলীন হয় না। আবার পুরো দু'যুগ মধুরসব স্মৃতিতে টইটম্বুর হবে এমনটিও মানবজীবনের স্বভাবধর্ম নয়৷ অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়েই জীবন। অথচ লীলা রায় এমন কোনো ঘটনা কিংবা স্মৃতি ঘুণাক্ষরেও আনেন নি যাতে তার 'ইমেজ' নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। লীলা মজুমদারের স্মৃতিকথা ' আর কোনোখানে' খুবই সুপাঠ্য। তবে সত্যতার মাপকাঠিতে ফেলটুস।
পিতার চাকরির সুবাদে শৈলবাসে বেড়ে উঠেছেন এগারো বছর পর্যন্ত। পাহাড়ের জীবনকে এতটা চিত্রময়রূপ ভঙিতে সাজিয়েছেন লীলা মজুমদার যেন সবকিছু দু'চোখের সামনে দেখছিলাম। সেখানকার ঝঞ্জাটহীন সময়কে বেশ করে স্মৃতিরপটে এঁকেছেন লীলা মজুমদার৷
উপেন রায় আ্যন্ড সন্সের বিখ্যাত প্রেস, সুকুমার রায়ের মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, রায় পরিবারের প্রত্যেকটি পুরুষের কীর্তির বর্ণনা সবই আছে। আছে তুখোড় মেধাবী লীলা মজুমদারের পরিবারের কলকাতায় চলে আসা। বিরাট রায় পরিবারে একেরপর এক ট্র্যাজেডি। আফসোস করেছেন তার ভাই সুকুমার রায়ের মতো মানুষকে আজ লোকে ভুলতে বসেছে। সুকুমার রায়ের পরিচয় হয়ে উঠেছে সত্যজিৎ রায়ের পিতা হিসেবে৷ অথচ সুকুমার রায় নিজে তো কম বড় রত্ন ছিলেন না। সে তো লীলা রায় তার বড়দা' সুকুমার রায়কে নিজের চোখেই দেখেছে।
শান্তিনিকেতনে নয়মাস শিক্ষকতা করিয়েছিলেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখনো জীবিত৷ রবিঠাকুরের সান্নিধ্য প্রাপ্তি এবং শান্তিনিকেতনবাসের অতীতকে আঁকড়ে রেখেছেন বড় যত্ন নিয়ে। যদিও টিকতে পারেন নি সেখানে। চলে আসতে হয়েছে তাঁকে।
সব অতীত অভিজ্ঞতাকে আমরা কী মনের মণিকোঠায় ঠাঁই দিই? ততস্থান তো আমাদের নেই। যেসব ঘটনা অমলিন হয়ে থেকে যায়, সেইসবই স্মৃতি হয়ে রয়ে যায়। হয়ে থাকে নিত্যকার সঙ্গী। লীলা মজুমদার তার স্মৃতিকে খুবই সাদামাটা অথচ ভারি অন্তরঙ্গতার সাথে ভাগ করে নিয়েছেন পাঠকদের সাথে এমনটি বড় একটা দেখা যায় না৷
জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর সংখ্যা হিসেবে কতটা কম-বেশি জানি না। তবে ঘটনাবহুল পঁচিশ বললে অত্যুক্তি হবে না৷ জীবনের সকল অভিজ্ঞতা অম্লত্বে বিলীন হয় না। আবার পুরো দু'যুগ মধুরসব স্মৃতিতে টইটম্বুর হবে এমনটিও মানবজীবনের স্বভাবধর্ম নয়৷ অম্ল-মধুর স্মৃতি নিয়েই জীবন। অথচ লীলা রায় এমন কোনো ঘটনা কিংবা স্মৃতি ঘুণাক্ষরেও আনেন নি যাতে তার 'ইমেজ' নিয়ে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়। লীলা মজুমদারের স্মৃতিকথা ' আর কোনোখানে' খুবই সুপাঠ্য। তবে সত্যতার মাপকাঠিতে ফেলটুস।
Top rated books in this category